আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3362 লেভেলে পৌঁছেছিল, যা ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে এই পেয়ারে 17 পিপসেরও বেশি দরপতন ঘটে। এরপর 1.3345 এরিয়া থেকে মূল্যের রিবাউন্ডের ফলে লং পজিশন ওপেন করার মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রায় 20 পিপস লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
পাউন্ড মূলত মার্কিন ডলারের বিপরীতে সামান্য দরপতনের শিকার হয়েছে। ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের এই তুলনামূলক স্থিতিশীলতার পেছনে বেশ কিছু কারণ বিদ্যমান। প্রথমত, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে আর কোনো বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে না—এই ধারণাটা ইতোমধ্যেই মার্কেটে আংশিকভাবে প্রভাব বিস্তার করেছে, কারণ যুক্তরাজ্যে বিদ্যমান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এখনো দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং তাই তারা কঠোর আর্থিক নীতিমালা বজায় রাখতে বাধ্য হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদনের তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক অর্থনৈতিক ফলাফল পাউন্ডকে সহায়তা করেছে।
আগামী কয়েকদিনে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মোমেন্টাম আরও কয়েকটি মূল বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে—যেমন ভবিষ্যতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত, উভয় দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। এটি মনে রাখা জরুরি যে, মার্কেট সবসময় খবর এবং ট্রেডারদের মনোভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাই বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সকল বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
আজ, যুক্তরাজ্যের থেকে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই GBP/USD পেয়ারের ট্রেডাররা আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করার সুযোগ পেতে পারেন। যেহেতু যুক্তরাজ্য থেকে আজ কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, মার্কেটে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা উন্মুক্ত রয়েছে, বিশেষত যদি ফরেক্স মার্কেটে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব বজায় থাকে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি আজ মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3396-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3371-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3396-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। চলমান প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3353-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3371 এবং 1.3396-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3353-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3326-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3371-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3353 এবং 1.3326-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।