আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের যথেষ্ট নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবার 1.3309 লেভেলে পৌঁছায়, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করিনি। এই পেয়ারের মূল্য দ্বিতীয়বার 1.3309 লেভেলে পৌঁছানোর সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা পরিকল্পনা 2 অনুযায়ী ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের সুযোগ প্রদান করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ২০ পিপস বৃদ্ধি পায়।
ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের কিছুটা কারেকশন হয়েছে, তবে এখনও পাউন্ডের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কিছু স্থিতিশীলতার লক্ষণ দেখা হেলেও, মুদ্রাস্ফীতি এখনও উচ্চমাত্রায় রয়ে গেছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এতে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর সুদের হারের নীতি বজায় রাখতে বাধ্য হচ্ছে, যা শেষ পর্যন্ত GBP/USD পেয়ারকে সহায়তা করছে। বিপরীতে, যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি ভিন্ন: সেখানে মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে এবং শ্রমবাজারেও দুর্বল পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে ফেডারেল রিজার্ভ তুলনামূলকভাবে নমনীয় অবস্থান বজায় রাখতে বাধ্য হচ্ছে, যা ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আজ সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইভেন্টটি সামনের দিনগুলোতে পাউন্ড স্টার্লিংরের মূল্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলোই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে উঠে আসবে। যদিও যুক্তরাজ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির গতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে, তবু মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান হার লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এখনো অনেক বেশি। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, দেশটির সংসদ সদস্যরা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। এছাড়াও, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 ও পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3374-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3337-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3374-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3323-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3337 এবং 1.3374-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3323-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3285-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3337-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3323 এবং 1.3285-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।