আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3107 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, যেটিকে আমরা একটি শক্তিশালী সাপোর্ট লেভেল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলাম। এতে এই পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায় এবং মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়, যদিও সাথে সাথেই মূল্য আবারও কিছুটা নিম্নমুখী হয়। আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী আমরা ধারণা করছি যে নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, তবে প্রায়শই যেভাবে হয়, আগামীতে মূল্য বৃদ্ধি শুরু হওয়ার আগে কিছুটা করেকশন দেখা যেতে পারে। ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য রাতেরবেলা আবার কমে গেলেও, দিনের বেশিরভাগ সময়ই এটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কি কোনো স্থানীয় কারণ ছিল? না, ছিল না। যদি গতকাল এই পেয়ারের মূল্য ১০০ পিপস হ্রাস পেত, তাহলে তা অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ও ইভেন্টের প্রেক্ষাপটে যুক্তিযুক্ত হতো। মনে করিয়ে দিই, সকালেই ৪৩ দিন স্থায়ী মার্কিন শাটডাউনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে নেতিবাচক ছিল। সুতরাং গতকাল ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল না, তবুও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যেমনটি দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটে এখনও অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, এবং আমরা ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে যুক্তিসঙ্গত, আর যেকোনো দরপতনকে এখন শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার অনেক কার্যকর দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.3096-1.3107 এরিয়া থেকে স্পষ্টভাবে রিবাউন্ড করে এবং সারাদিন জুড়েই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। ফলে নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করে, সন্ধ্যা নাগাদ ৮০–৯০ পিপস লাভের সাথে পজিশন ক্লোজ করতে পারতেন। 1.3203-1.3211 এরিয়া থেকেও একটি রিবাউন্ডের মাধ্যমে ট্রেড করা যেত, এবং এটি থেকেও লাভবান হওয়া সম্ভব হতো; তবে, এই সিগন্যালটি তুলনামূলকভাবে দিনের একদম শেষভাগে গঠিত হয়েছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই আমরা আগামি কয়েক সপ্তাহে স্থানীয় খবর বা প্রতিবেদন উপেক্ষা করে হলেও ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য বেড়ে যেতে পারে বলে আশা করছি। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পেছনে বৈশ্বিকভাবে কোনো ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশাই করছি। দৈনিক টাইমফ্রেমে যদি করেকশন/ফ্ল্যাট মুভমেন্ট শেষ হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্য়ের ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবারও শুরু হতে পারে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3096-1.3107 এবং 1.3203-1.3211 এরিয়ায় নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকতে পারেন।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। শুক্রবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। ফলে আজও এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।