আরও দেখুন
বৃহস্পতিবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল, এবং মূল্যের অস্থিরতা ও বৃদ্ধির প্রবণতাও বেড়েছে। নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা জরুরি যে, এই পেয়ারের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি এবং ডলারের দরপতন নির্দেশ করে। অর্থাৎ, মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সমাপ্তির খবরে গতকালও ডলারের দরপতন অব্যাহত ছিল। এই ধরনের মুভমেন্ট বিশ্লেষণ করতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ এতে সাধারণভাবেই কোনো যৌক্তিকতা নেই। সহজ কথায়, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও স্থানীয় সংবাদ এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কোনো প্রভাব ফেলেনি। ট্রেডাররা নিজের মতো করে ট্রেড করছে এবং স্থানীয় মৌলিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল উপেক্ষা করছে। একই সময়ে, যখন যেকোনো মূল্য বৃদ্ধিই যৌক্তিক মনে হয় তখন যেকোনো দরপতনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অযৌক্তিক, কারণ বৈশ্বিক মৌলিক উপাদানগুলো ডলারের জন্য এখনও স্পষ্টভাবে নেতিবাচক। তাই, এক বা দুই দিনের মধ্যে স্থানীয় মৌলিক ও অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বর্তমানে পরিলক্ষিত মার্কেটে প্রায় সব ধরনের মুভমেন্টকেই অযৌক্তিক বলা যেতে পারে। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতির আলোকে এই পেয়ারের মূল্যের যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্পূর্ণরূপে যুক্তিসঙ্গত। দৈনিক টাইমফ্রেমে মার্কেটে এখনও ফ্ল্যাট মুভমেন্ট বজায় রয়েছে, যার মাধ্যমে এসব অযৌক্তিক মুভমেন্টের ব্যাখ্যা করা যায়।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশন শুরু হওয়ার সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং দিনের শেষে মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা – 1.1655-1.1666 এরিয়ায় পৌঁছে যায়, যেখান থেকে আবারও রিবাউন্ড হয়। ফলে, নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশন ওপেন করে প্রায় ৫০ পিপস লাভ করার সুযোগ তৈরি হয়। 1.1655 লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রেও ট্রেড করা যেত, কিন্তু এই সিগন্যালটি বেশ দেরিতে গঠিত হয়েছিল এবং স্থানীয় পর্যায়ে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে পরস্পরবিরোধী ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানীয় পর্যায়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য অন্তত ১৫০ পিপস বাড়তে পারে। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কাঠামোর ভিত্তিতে ইউরোর দরপতন হতে পারে – দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা এখনো প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। তবে, আমরা আশা করছি এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে চলমান মুভমেন্ট শীঘ্রই শেষ হবে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে, এমনকি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1655-1.1666 এরিয়ায় ট্রেড করতে পারেন। এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া রিবাউন্ড করলে মূল্যের 1.1584-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। আর, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1655-1.1666 এরিয়ার উপরে স্থিতিশীলভাবে অবস্থান গ্রহণ করে, তাহলে মূল্যের 1.1745-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988
শুক্রবার, ইউরোজোনে তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। আমরা আগেও দেখেছি, ট্রেডাররা প্রায়শই স্থানীয় প্রতিবেদনের ফলাফল উপেক্ষা করছে, তাই টেকনিক্যাল কাঠামোই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।