empty
 
 
12.05.2025 09:00 AM
১২ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। মৌলিক প্রেক্ষাপটগত প্রভাব বা গুরুত্বপূর্ণ খবরও সীমিত থাকবে, তবে এই মুহূর্তে মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে ঠিক কোন উপাদানগুলো কাজ করছে, সেটি পুরোপুরি অনিশ্চিত। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পাউন্ড ও ইউরোর দরপতনের যথেষ্ট কারণ ছিল। তবে ইউরোর দরপতন ছিল খুবই ক্ষণস্থায়ী, আর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের চাপের মুখেও সাইডওয়েজ চ্যানেল থেকে বের হতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার এখনো খুব একটা যৌক্তিকতা নেই, তবে ওই দিকেও এখন তেমন কোনো খবর নেই। বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা এখন স্থগিত রয়েছে, আর ট্রাম্প বারবার নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিলেও তিনি বিস্তারিত কিছুই প্রকাশ করছেন না। যদি তিনি নতুন করে শুল্ক আরোপ শুরু করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবারও ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। আবার যদি তিনি উত্তেজনা প্রশমনের দিকে অগ্রসর হন, তাহলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন, তাই এ কারণেও ডলারের তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর বিপরীতে শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল। মনে করিয়ে দিই, পূর্বে যদি উত্তেজনার খবরে ডলার দরপতন ঘটে থাকে, তাহলে চুক্তির খবরে ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হওয়াই স্বাভাবিক। সুতরাং, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি মার্কিন ডলারের জন্য একটি সহায়ক উপাদান হওয়া উচিত। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন চীন ও ইইউ-এর সঙ্গে চুক্তির দিকেই বেশি মনোযোগী, যেখানে এখনো কোনো বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

সোমবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখবেন। তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও ফেডের বৈঠক গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, আর ইসিবি তারও এক সপ্তাহ আগে বৈঠক করেছে। ফলে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ইতোমধ্যে স্পষ্ট।

This image is no longer relevant

উপসংহার:

সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টদেখা যেতে পারে। ইউরোর ধীরে ধীরে দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে মার্কিন ডলারের মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এখনো খুব একটা প্রত্যাশিত নয়। পাউন্ডের মূল্য এখনো সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই আটকে রয়েছে, যার মানে এটির মূল্যের মুভমেন্ট অনেকটা এলোমেলো বা বিশৃঙ্খল হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.